শাহ আব্দুল হামিদ (Shah Abdul Hamid; ১৮৯০ - ১ মে ১৯৭২) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের প্রথম স্পীকার।
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি : শাহ হামিদ ১৮৯০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের রংপুর জেলার (বর্তমান গাইবান্ধা জেলার) গোবিন্দগঞ্জের খালসি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম হাজী আব্দুল গাফফার শাহ এবং মাতা রহিমা খাতুন।
রাজনৈতিক জীবন: ছোটবেলা থেকেই শাহ আব্দুল হামিদ স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩০ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অসহযোগ আন্দোলনে যুক্ত হন। ১৯৩৬ সালে তিনি মুলসিমলীগে যোগ দেন। ১৯৪১ সালে রংপুর জেলা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। ১৯৪৫ সালে তিনি ভারতের আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৬ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে গোবিন্দগঞ্জ-পলাশবাড়ী আসন থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে তিনি ভারতে চলে যান এবং মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি গণ পরিষদ (জাতীয় পরিষদ) প্রথম স্পিকার ছিলেন। তিনি ১০ এপ্রিল ১৯৭২ থেকে ১ মে ১৯৭২ পর্যন্ত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
পেশাগত জীবন: তিনি গাইবান্ধা আদালতে আইন পেশায়
নিয়োজিত ছিলেন।তিনি একজন সক্রিয় সামাজসেবী এবং শিক্ষানুরাগী ছিলেন।
উত্তরাঞ্চল, বিশেষত গাইবান্ধার শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে তিনি
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি তার পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর,
গাইবান্ধায় ফিরে আসেন এবং ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি দীর্ঘ
সময় গাইবান্ধা টাউন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমান গাইবান্ধা
স্টেডিয়াম "শাহ আবদুল হামিদ স্টেডিয়ামে" হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে।
শিক্ষা : তিনি ১৯২০ সালে রংপুরের কারমাইকেল কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন। পরবর্তীতে ১৯২৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
মৃত্যু : তিনি ১৯৭২ সালের ১ মে মারা যান। তথ্য : wikipedia