নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধা পৌরসভার সভাকক্ষে ইকো সোস্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (ইএসডিও) প্রকল্প অবহিতকরণ সভা হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহীদ আহম্মেদ-এর সভাপতিত্বে এই অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর যামিনি কুমার রায়। প্রজেক্টের মাধ্যমে ইএসডিও প্রকল্পের সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন ইএসডিও’র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মোঃ জুলফিকার ইসলাম।
ইএসডিও প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফিনিশ মন্ডিয়াল বাংলাদেশ-এর ইন্সটিটিউশনাল এন্ড গভার্ন্যান্স এক্সপার্ট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,“এই প্রকল্পটি একটি ডায়ামন্ড মডেল হিসাবে কাজ করবে। পৌরসভার কমিউনিটিতে সচেতনতা বৃদ্ধি, চাহিদা সৃষ্টি এবং উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে স্যানিটেশন বাজার ব্যবস্থার সরবরাহ পদ্ধতি গতিশীল করবে। একই সঙ্গে স্থানীয় সরকার কর্তৃক সার্বিক স্যানিটেশন কার্যক্রমে কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণেও কাজ করে যাবে।”
উন্মুক্ত আলোচনায় গাইবান্ধা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক প্রকল্পের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট জানতে চান, ইএসডিও গাইবান্ধা পৌরসভায় কিভাবে কাজ করবে এবং এ জন্য বরাদ্দই বা কত? তিনি বলেন,“ইএসডিও’র সুস্পষ্ট কার্যক্রম অবহিত করা প্রয়োজন। পৌরসভা একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তাই এ প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে মাইক্রোক্রেডিটের ব্যবসা করা যাবে না।”
জবাবে ফয়সাল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,“ ইএসডিও পৌরসভার মনিটরিং ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করবে। এছাড়া হত-দরিদ্রের জন্য ভর্তুকি স্কীম উন্নয়নে পৌরসভাকে কৌশলগত সহযোগিতাও করবে। পৌরসভার জেন্ডার সমতা ও সামাজিক অন্তর্ভূক্তিমূলক সেক্টর মনিটরিং ব্যবস্থা ও স্যানিটেশন, মনুষ্য পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সচেতনতা ও স্যানিটেশন মার্কেটিং, কারিগরি এবং ব্যবসায়িক উন্নয়নের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।”
তিনি আরও বলেন,“ উদ্যোক্তার এবং পারিবারিক পর্যায়ে ঋণ যোগানের পরামর্শ, স্যানিটেশন ও বর্জ্য পরিশোধিত পণ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কমিউনিটি পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সেশন আয়োজন করা হবে।”
পৌর সচিব আব্দুল হানিফ সরদার ইএসডিওকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,“ গাইবান্ধা বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা একটি জেলা। পৌর এলাকাতেও উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি। ইএসডিও মূলত পৌরসভার মনিটরিং ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করতে সহযোগিত করবে। আপনাদের সহযোগিতায় পৌরসভায় বিভিন্ন কমিটিগুলো সচল রাখতে পারলে সহজেই প্রকল্পে অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে। গাইবান্ধা পৌরসভায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।”
সমাপনি বক্তব্যে শহীদ আহম্মেদ বলেন,“ এতক্ষণ আপনাদের আলোচনা শুনে যেটা বুঝলাম আপনারা অবকাঠামোগত উন্নয়নের চেয়ে মানুষকে নিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমই বেশি পরিচালনা করবেন। তবে আমাদের দাবি থাকবে সচেতনাতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কার্যক্রম করা যায় কি-না সে ব্যাপারেও দৃষ্টি রাখবেন।”
প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন কাউন্সিলর আবু বকর সিদ্দিক, শেখ সর্দার আসাদুজ্জামান। উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আব্দুস সামাদ রোকন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাহফজা খাঁন, সাবিনা বেগম, বেগম মমতা সরকার, কাউন্সিলর শেখ শাহীন, রকিবুল হাসান, হুমায়ুন কবীর স্বপন, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিপুল কুমার সাহা, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাম্মদ সফিউল ইসলাম, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম আকন্দ, কমিউনিটি কর্মী সূচনা সরকার, কঞ্জারভেন্সি ইন্সপেক্টর (ভারঃ) যুধিষ্ঠির চন্দ্র সরকার, ইএসডিও’র সিটি কো-অর্ডিনেটর গোলাম মোস্তফা, মিউনিসিপ্যাল কো-অর্ডিনেটর মাহমুদুল হাসান, ছিন্নমূল মহিলা সমিতির উপ-পরিচালক মাহদুন্নবী রিপন, ব্র্যাক-এর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর (এফসি) শাজাহান মিয়া, আইডিই বাংলাদেশ-এর গাইবান্ধার কো-অর্ডিনেটর ইয়াসিন মিয়া, এসকেএস-এর কো-অর্ডিনেটর শাহ মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম মল্লিক প্রমূখ।