নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধা পৌরসভার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং জনবান্ধবে রুপান্তর করতে পৌর পরিষদের সঙ্গে সচেতন নাগরিক কমিটির(সনাক) মতবিনিময় সভা হয়েছে। মঙ্গলবার(১৪ডিসেম্বর) গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়রের কক্ষে এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহীদ আহম্মেদ। সভায় সনাক-এর সুপারিশমালা তুলে ধরেন সদস্য উজ্জল চক্রবর্ত্তী।
সভায় নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক বলেন,“পৌরসভার ওয়েবসাইটটি ৯০ শতাংশ হালনাগাদ করা হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই সিটিজেন চার্টারটি পুনঃস্থাপন করা হবে। জন্মনিবন্ধন নিয়ে কিছুদিন আগেও যে ধরণের জটিলতা ছিল এখন সেটা আর নেই। আমাদের সচিব মহোদয় শুক্রবার-শনিবার কাজ ভাগ করে দিয়ে পূর্বের ঝুলে থাকা কাজগুলো শেষ করেছেন। এছাড়া উন্নয়ন পরিকল্পনায় পৌরসভায় ১০টি গনশৌচাগার ধরা রয়েছে।”
পৌর সচিব আব্দুল হানিফ সরদার বলেন,“ ডাম্পিং ষ্টেশন এলাকায় সপ্তাহে তিনদিন স্প্রে করা হচ্ছে। এখন আর দূর্গন্ধ নেই। এছাড়া পৌরসভার বিভিন্ন উপকারভোগীর তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশের ব্যবস্থা করা হবে। জন্মনিবন্ধন কার্যক্রমে আর জটিলতা নেই। এখন এটি অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে।”
সভাপতি শহীদ আহম্মেদ শহীদ বুদ্দিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন,“ আজ আমরা এখানে কথা বলতে পারছি সেইসব শহীদদের জন্য যাদের আত্মত্যাগে আমরা স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি। তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। আপনারা যেসব সুপারিশমালা তুলে ধরেছেন তার সবই বাস্তবায়নে সচেষ্ট গাইবান্ধা পৌরসভা। জন্মনিবন্ধন নিয়ে আমরা সমস্যার মধ্যে ছিলাম। নতুন সচিব মহোদয় রাত দিন পরিশ্রম করে জন্মনিবন্ধনের জটিলতা কমিয়ে ফেলেছেন। এখন আর কাউকে জন্মসনদ পেতে ঘুরতে হয় না। পৌরসভার ওয়েবসাইট হালনাগাদ রয়েছে। আপনারা সেটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেই বুঝতে পারবেন। সিটিজেন চার্টার আমাদের ছিল। তবে নতুনভাবে এ মাসেই আমরা সিটিজেন চার্টার স্থাপন করব।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমিতাভ চক্রবর্তী, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুর রহিম আকন্দ, লাইসেন্স পরিদর্শক আব্দুল আহাদ মিয়া, টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মাসুদ রানা, ইয়েস সদস্য সানজিদ হোসেন প্রমূখ।