নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধা পৌরসভায় কর নিরুপন ও আদায় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভা হয়েছে। গত ৮ডিসেম্বর গাইবান্ধা পৌরসভার সভাকক্ষে কমিটির সভাপতি আবু জাফর মোঃ মহিউদ্দিন-এর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পৌর সচিব আব্দুল হানিফ সরদার স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন-২০০৯ এর কর আরোপণ ও আদায়ের ধারাসমূহ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন,“ ধারা ১০৩-এ বলা হয়েছে পৌরসভা কর্তৃক বিধি মোতাবেক আরোপিত পৌর কর সরকারি দাবী হিসাবে আদায় করবে। প্রয়োজনে বকেয়া পৌর কর আদায়ে অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করে পৌর কর আদায় করতে পারবে।” তিনি আরও বলেন,“ পৌরসভা আদর্শ কর তফসিল ২০০৩ অনুসারে বর্তমানে অত্র পৌরসভায় পৌর কর ও রেইট (সেবার রক্ষণাবেক্ষন ব্যয়) ধার্য ও আদায় করা হচ্ছে ২৭%(শতকরা সাতাশ ভাগ)। অর্থাৎ ৭% পৌর কর, ৩% সড়ক বাতির রেইট, ১০% পানি সরবরাহ ও ৭% কঞ্জারভেন্সি রেইট।”
কর নিরুপন ও আদায় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মতলুবর রহমান বলেন,“ গাইবান্ধা পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে রি-এ্যাসেসমেন্ট হয়নি। এর ফলে পৌরসভা আশানুরুপ পৌর কর আদায় করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ব ব্যাংক, জাইকা, এডিপি, ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংক এবং কুয়েত ফান্ড নামীয় প্রজেক্টে অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি। শুধু তাই নয়, কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে চরমভাবে ব্যর্থ হওয়ায় বড় প্রজেক্ট পায়নি।”
তিনি আরও বলেন,“ সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক এবং অত্র পৌরসভাকে একটি স্বচ্ছ, জবাবদীহিতামূলক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তর করার লক্ষ্যে এ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। সার্বিক দিক সামঞ্জস্য রেখে সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ করে সম্মানিত পৌর নাগরিকগনের সুচিন্তিত মতামত ও সুপারিশকে প্রাধান্য দিয়ে পৌর কর ধার্য এবং কার্যকর করা হবে। এ জন্য ওয়ার্ড কমিটি, স্থায়ী কমিটি, শহর সমন্বয় কমিটি (টিএলসিসি) এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের সূধি সমাজের উপস্থিতিতে আলোচনা করে তাদের মতামতের ভিত্তিতে একটি বাস্তবসম্মত পৌর কর ধার্য কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করতে পৌরসভার সর্বস্তরের নাগরিকগনের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন।”
কর নিরুপন ও আদায় বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন, সদস্য ও সংরিক্ষত আসনের কাউন্সিলর সাবিনা বেগম, সদস্য ও প্যানেল মেয়র শহীদ আহম্মেদ, সদস্য ও কাউন্সিলর কাজী হুমায়ন কবীর ও মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। সহায়ক কর্মকর্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাম্মদ সফিউল ইসলাম, কর নির্ধারক হাসান রুশ্দ প্রমূখ।