News Details | Gaibandha Pourosova
গাইবান্ধা পৌরসভায় টিএলসিসি’র সভা
প্রকাশের সময়: 06 Jan, 2022


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধা পৌরসভায় শহর সমন্বয় কমিটি’র (টিএলসিসি) কার্য পরিধি বিষয়ে অবহিতকরন সভা হয়েছে। গত ২৮ ডিসেম্বর গাইবান্ধা পৌরসভার সভাকক্ষে মেয়র মতলুবর রহমান এর সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে ইএসডিও-ফিনিশ মন্ডিয়াল প্রকল্প, গাইবান্ধা। 

সভায় শহর সমন্বয় কমিটি’র কার্য পরিধি তুলে ধরেন পৌর সচিব আব্দুল হানিফ সরদার। তিনি পৌরসভা আইন,২০০৯ এর ১১৫ ধারা অনুসারে শহর সমন্বয় কমিটির বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। পরে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কমিটির সদস্যরা। সদস্য মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু বলেন,“ টিএলসিসি’র সদস্য করার জন্য নতুন পরিষদকে ধন্যবাদ। গাইবান্ধা পৌরসভায় দীর্ঘদিন পর রি-এ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যদিও এটা অনেক আগেই হওয়া দরকার ছিল। পৌরসভার সুবিধা ভোগ করতে হলে অবশ্যই আমাদের কর পরিশোধ করতে হবে। নতুন করে কর নির্ধারণ করার আগে সূধি সমাবেশের আয়োজন করলে সবার মতামত জানা যাবে। প্রয়োজনে তিনটি সূধি সমাবেশ করে সবার মতামত নিন। এতে সবার মতামতই উঠে আসবে।”

পরে সমাপনি বক্তব্যে মেয়র মতলুবর রহমান বলেন,“ পৌরসভায় দীর্ঘদিন হলো এ্যাসেসমেন্ট হয়নি। পূর্বে যে বাড়ির কর ১০০টাকা ছিল ১০ বছর পরেও তাই আছে। সবকিছুর দাম বেড়েছে। কিন্তু পৌর কর যেখানে ছিল সেখানেই রয়েছে। তাছাড়া ১০ বছরে অসংখ্য ঘর-বাড়ি হয়েছে যেগুলো করের আওতাভুক্ত হয়নি। আমরা এসে শুরুতেই রি-এ্যাসেসমেন্ট কাজে হাত দিয়েছি। ইতিমধ্যে এই কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন কর নির্ধারণের যে আইন আছে সেটা প্রয়োগ করলে অনেকেরই সমস্যা হবে। সে জন্য আমরা সূধি সমাবেশ করে কর নির্ধারণের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন,“ এই পরিষদ দায়িত্ব নিয়েছে ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে। প্রায় ১০ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। আপনারা জানেন, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে পৌরসভা প্রজেক্ট পায় না। আর প্রজেক্ট না পেলে পৌরসভার উন্নয়ন সম্ভব নয়। রাজস্ব দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন দিতেই চলে যায়। নতুন পরিষদ আসার পর বিদ্যুৎ বিল বকেয়া নেই। উপরন্তু আমরা আগের বকেয়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছি। তাই পৌরসভাকে এগিয়ে নিতে আপনাদের মূল্যবান পরামর্শ এবং সহযোগিতা প্রয়োজন।” 

টিএলসিসি সভায় উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাহাফুজা খাঁন, বেগম মমতা সরকার, সাবিনা বেগম, শেখ শাহীন, কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহীদ আহম্মেদ, আব্দুল সামাদ রোকন, আবু জাফর মোঃ মহিউদ্দিন, কাউন্সিলর কামাল হোসেন, রকিবুল হাসান, মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, শেখ সর্দার আসাদুজ্জামান, কাজী হুমায়ন কবীর, নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা বিপুল কুমার সাহাসহ টিএলসিসি’র সদস্যবৃন্দ।