News Details | Gaibandha Pourosova
গাইবান্ধা পৌরসভায় পৌর কর আরোপের ধাপ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা
প্রকাশের সময়: 25 Jan, 2022


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গাইবান্ধা পৌরসভায় পৌরসভা আইন,২০০৯ অনুসারে পৌর কর আরোপের ধারাসমূহ এবং বিভিন্ন ধাপ সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় সভা হয়েছে। গেল ২৪জানুয়ারি পৌরসভার সভাকক্ষে মেয়র মতলুবর রহমানের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং তিনটি ওয়ার্ড থেকে ২০জন করে বিশিষ্ট নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। 

মতবিনিময় সভায় পৌর কর আরোপের ধারাসমূহ এবং বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন গাইবান্ধা পৌরসভার সচিব আব্দুল হানিফ সরদার। এরপর উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন তিনটি ওয়ার্ডের বিশিষ্ট নাগরিকেরা। 

উন্মুক্ত আলোচনার পর মেয়র মতলুবর রহমান একে একে সবার নানা প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন,“ গাইবান্ধা পৌরসভায় বিগত ১৫ বছর হলো এ্যাসেসমেন্ট হয় না। হয়তো ভোটের চিন্তা করে বিগত পরিষদগুলো রি-এ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রম শুরু করেনি। আপনারা হয়তো মনে করছেন যারা কর দেন তাদের আরও বাড়বে, কিন্তু বিষয়টা তা নয়। গত ১৫ বছরে এই শহরে অনেক বহুতল ভবন হয়েছে। তারা কিন্তু করের আওতায় আসেনি। উদাহরণস্বরুপ এসকেএস হাসপাতাল ব্যবসা করছে অথচ কর দিচ্ছে না। এখানে দোষটা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নয়,পৌরসভার। কারণ পৌরসভা তো এ্যাসেসমেন্টই করেনি। তারা করের আওতায় আসবে কী করে?”

মেয়র আরও বলেন,“ আমাদের মূল লক্ষ্য যারা করের আওতায় আসেনি তাদের করের আওতায় নিয়ে আসা। আপনারা যারা কর দেন তাদের খুব সামানই বাড়বে। সেটা হয়তো ৫% থেকে ১০% বা সামান্য এদিক-ওদিক হতে পারে। সরকারি বিধান অনুযায়ী, আমরা কর ৪২% পর্যন্ত বাড়াতে পারি। শুধু তাই নয়, আইনে মালামাল ক্রোক করার ক্ষমতাও দেওয়া আছে। কিন্তু আমরা সেটা করব না। কারণ আপনাদের ভোটেই নির্বাচিত হয়ে এখানে এসেছি। কাজেই আপনাদের ভালমন্দ দেখভাল করার দায়িত্বও এই পরিষদের। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো যারা করের আওতায় এখনও আসেনি তাদের করের আওতায় নিয়ে আসা।”

উন্মুক্ত আলোচনায় হঠাতই পানির বিল বৃদ্ধির ব্যাপারে সমালোচনা করা হয়। কেন পানির বিল বৃদ্ধি করা হয়েছে এ প্রসঙ্গে মতলুবর রহমান বলেন,“ সবকিছুর দাম বেড়েছে। বাজারে এক লিটার পানির দাম কত? আমরা আপনাকে প্রতিদিন ১৫০০ লিটার পানি দিচ্ছি। হিসাব করলে দেখা যায় এক লিটার পানির দাম পড়ে পাঁচ পয়সা! পানির বিল সামান্যই বেড়েছে। তারপরেও প্রতি মাসে পানিতে পৌরসভাকে ভুর্তকি দিতে হচ্ছে ছয় লক্ষ টাকা। এই টাকাটা কোথায় থেকে আসবে?

মতবিনিময় সভায় কাউন্সিলরদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক ও শেখ সর্দার আসাদুজ্জামান। বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন কুদ্দুস আলম, আনোয়ার আমিন, আব্দুর রহমান শেখ, মুরাদ হোসেন, শাহ শরিফুল ইসলাম বাবলু প্রমূখ। 

প্রসঙ্গত, পৌর করের ধাপ নিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি তিনটি ওয়ার্ডের সূধীজন এবং ১৯ জানুয়ারি ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সূধীজনদের নিয়ে আরও দুটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।