নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধা পৌরসভার সঙ্গে সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) মতবিনিময় সভা হয়েছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধা পৌরসভার স্বচ্ছতা , জবাবদিহিতা এবং জনবান্ধব করতে মেয়রের কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহীদ আহম্মেদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সনাক, গাইবান্ধা’র সভাপতি অধ্যাপক জহুরুল কাইয়ুম।
গাইবান্ধা পৌরসভার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সেবার মানোন্নয়নে সনাকের সুপারিশ তুলে ধরেন স্থানীয় সরকার উপকমিটির আহবায়ক উজ্জল চক্রবর্তী। এরপর বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল হক। তিনি বলেন,“ নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলার ব্যাপারে সাধারণ জনগনকে সচেতন হতে হবে। ইতিপূর্বে মোড়ে মোড়ে ডাস্টবিন দেওয়া হলেও সেটি কাজে আসেনি। এক্ষেত্রে সনাকও ভুমিকা পালন করতে পারে। প্রত্যেক মাসে না হলেও তিন বা ছয় মাস অন্তর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বা কয়েকটি ওয়ার্ড মিলে সচেতনতামূল অনুষ্ঠান করতে পারে, যেখানে পৌরসভারও অংশগ্রহণ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন,“ জনসমাগমস্থানে গনশৌচাগার করার ব্যাপারে গাইবান্ধা পৌরসভা আন্তরিক। প্ল্যান পাশ করার সময় শৌচাগারের ব্যবস্থাও রাখা হয়। কিন্তু পরে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শৌচাগার না হয়ে দোকান ঘর উঠেছে, এমনকি পৌর মার্কেটে শৌচাগার থাকায় একের পর এক অভিযোগ দিয়ে বাধ্য করেছে সেটা বন্ধ করতে। এ ব্যাপারে আমাদের মানসিকতায় আগে পরিবর্তন আনতে হবে। সনাক এই জায়গায় কাজ করতে পারে।”
পৌরসভার সচিব আব্দুল হানিফ সরদার বলেন,“ আপডেট তথ্য পাওয়া নিয়ে গাইবান্ধা পৌরসভার ওয়েবসাইট নিয়ে আপনাদের অভিযোগ ছিল। এখন কিন্তু পৌরসভার ওয়েবসাইট সবসময়ই হালনাগাদ করা হচ্ছে। পৌরসভার সব তথ্য সঙ্গে সঙ্গে আপডেট করা হচ্ছে। আর পৌরসভার বর্জ্য নিয়ে বেশ কয়েকটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা পৌরসভার বর্জ্য নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিনিধি দল গাইবান্ধা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ডাম্পিং স্টেশনটি পরিদর্শন করে গিয়েছে। আশা করছি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় গাইবান্ধা পৌরসভা আগামীতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে চলেছে।”
সমাপনি বক্তব্যে সভাপতি শহীদ আহম্মেদ বলেন,“ পৌরসভার সঙ্গে এই মতবিনিময় সভা করার জন্য সনাককে ধন্যবাদ। আপনারা আমাদের নিকট নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন বলেই আমরা সেই জায়গাগুলোতে ফোকাস করতে পারি। ইতিমধ্যে আমাদের পৌরসভার ওয়েবসাইট হালনাগাদ হয়েছে। সেখানে সবধরণের আপডেট তথ্য পাবেন। এখনো সিটিজেন চার্টার স্থাপন হয়নি, তবে খুব শিগগিরই এটাও হয়ে যাবে। জন্মনিবন্ধন নিয়ে একটা সময় পৌরসভায় চাপ ছিল, এখন আর সেই চাপ নেই। পৌরসভার সঙ্গে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি। সেই সভায় তাদের ট্যাক্স এবং পানির বিল বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।”
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আবু জাফর মোঃ মহিউদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর মাহাফুজা খান, সাবিনা বেগম, কাউন্সিলর মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক, এসডিও রবিউল ইসলাম, লাইসেন্স পরিদর্শক আব্দুল আহাদ মিয়া, সনাক সহ-সভাপতি অশোক সাহা, টিআইবি’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মাসুদ রানা, সনাক সদস্য জিয়াউল হক কামাল, ইয়েস দলনেতা মেহেদী হাসান, সানজিদা খন্দকার প্রমূখ।